Pure Honey ( Mix Flower ) ( 500 gm )
Reviews
Questions
পল্লীফুড স্পেশাল মিশ্র ফুলের মধু
ইপল্লী প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চল থেকে নিজস্ব তত্ত্বাবধানে প্রাকৃতিক মৌচাক হতে মধু সংগ্রহ এবং স্বাস্থ্যসম্মতভাবে বোতলজাত করে সরাসরি ভোক্তাদের নিকট সরবরাহ করে থাকে ৷ যা আপনারা নিশ্চিন্তে ব্যবহার করতে পারেন।
মধু হল মহান সৃষ্টিকর্তা প্রদত্ত প্রাকৃতিক এ্যান্টিবায়োটিক । যা আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ করার ক্ষমতাকে বহুগুণে বাড়িয়ে দেয় ৷ মধুতে বিদ্যমান প্রাকৃতিক গ্লুকোজ এবং ফ্রুক্টোজ আমাদের শরীরে তৎক্ষনাৎ এনার্জি যোগায় ৷ এছাড়া মধুতে রেয়েছে বিভিন্ন ধরণের ভিটামিন, অ্যামাইনো এসিড, খনিজ লবণ ইত্যাদি ৷
মধুতে বিদ্যমান উপাদানসমূহঃ
খাঁটি মধুতে প্রায় ৪৫টি খাদ্য উপাদান বিদ্যমান । প্রকৃতিতে বিদ্যমান বিভিন্ন ফুল থেকে মৌমাছিরা যে মধু সংগ্রহ করে এতে থাকে প্রায় ২৫ থেকে ৩৭ শতাংশ গ্লুকোজ, ৩৪ থেকে ৪৩ শতাংশ ফ্রুক্টোজ, ০.৫ থেকে ৩.০ শতাংশ সুক্রোজ এবং ৫ থেকে ১২ শতাংশ মল্টোজ ৷ এছাড়াও প্রায় ২২ শতাংশ অ্যামাইনো এসিড, প্রায় ২৮ শতাংশ খনিজ লবণ এবং প্রায় ১১ শতাংশ বিভিন্ন প্রাকৃতিক এনজাইম৷ খাঁটি মধু চর্বি ও প্রোটিনমুক্ত । ১০০ গ্রাম মধুতে থাকে ২৮৮ ক্যালরি ।
কেন খাবেন পল্লীফুড স্পেশাল মিশ্র ফুলের মধু ?
আমরা সবসময় মধু নিয়মিত খাওয়ার কথা বলে থাকি কারণ, অনিয়মিত মধু পানে যে উপকার আপনি পাবেন তা তেমনভাবে পরিলক্ষিত হবে না । সুস্থ থাকতে নিয়মিত খাঁটি মধু খাওয়ার কোন বিকল্প নেই ৷
মধুতে বিদ্যমান রয়েছে বিভিন্ন প্রাকৃতিক অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট। এর ফলে নিয়মিত খাঁটি মধু পানে আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি হয়।
মধু আমাদের শরীরে তৎক্ষনাৎ শক্তি যোগায়, শারীরিক দুর্বলতা দূর করে এবং শরীরে তাপ উৎপন্ন করে ।
মধু আমাদের শরীরে খাবারের হজমশক্তি বৃদ্ধিতে বিশেষভাবে সহায়তা করে ৷
যারা রক্তশূন্যতায় ভুগছেন, মধু তাদের জন্য অত্যন্ত উপকারি। রক্তে হিমোগ্লোবিন এর পরিমাণ বৃদ্ধিতে সহায়তার মাধ্যমে মধু শরীরের রক্তশূণ্যতা দূর করে।
মধু আমাদের শরীরে রক্তনালী প্রসারণের মাধ্যমে হৃদপেশির কার্যক্রমে বিশেষ ভূমিকা রাখে এবং শরীরে রক্ত সঞ্চালনে সহায়তা করে।
মধুতে রয়েছে বিভিন্ন খনিজ উপাদানসমূহ। নিয়মিত মধু পানে আমাদের শরীরে এসব খজিনের (কপার, লৌহ, ম্যাঙ্গানিজ ইত্যাদি) অভাব পূরণ হয়৷
মুখের অভ্যন্তরে বিভিন্ন ঘায়ের চিকিৎসায় মধু খুবই কার্যকরী এবং মধু আমাদের দাঁতকে মজবুত করে।
মৌসুমি সর্দি, জ্বর উপশমে তুলসি পাতার রসের সঙ্গে খাঁটি মধু মিশিয়ে কয়েকদিন নিয়মিত পান করলে এটা দারুণভাবে কাজ করে।
যারা ফুসফুসের বিভিন্ন জটিলতায় ভুগছেন এমনকি যাদের ফুসফুস করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে বিশেষভাবে ক্ষতিগ্রস্থ তাদের জন্যও মধু খুবই কার্যকরী৷
মধু শিশুদের হাড়ের গঠন মজবুত করে, দৃষ্টিশক্তি এবং স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি করে।
রাতের বেলা দুধের সঙ্গে মধু মিশিয়ে পান করলে আপনার অনিদ্রা দূর করতে সাহায্য করবে।
শারীরিক এবং যৌন দূর্বলতা দূরীকরণে মধুর রয়েছে বিশেষ ভূমিকা ৷
মধু পানে শরীরের কোষ্ঠকাঠিন্যতা দূর হয় ৷
নিয়মিত মধু পান বাতের ব্যথা উপশম করে।
মধুতে বিদ্যমান অ্যান্টি–অক্সিডেন্ট ত্বকের রং সুন্দর করে এবং তারুণ্যতা বজায়ে রাখতে সহায়তা করে ৷
মুখের ব্রণ এর চিকিৎসায়, ত্বক এবং চুলের রূপচর্চায় মধু ব্যবহারে বিশেষ সুফল পাওয়া যায় ৷
মধু খাওয়ার নিয়মঃ
মধু খাওয়ার বিশেষ তেমন কোন নিয়ম নেই । তবে অবশ্যই নিয়মিত মধু পান সর্বোত্তম৷ এতে শরীরের ইমিউনিটি সিস্টেম অনেক শক্তিশালী হবে । পাশাপাশি যে উপকারিতাগুলি পাবেন সেগুলিও দৃশ্যমান হবে। আপনি পূর্বের থেকে অবশ্যই ভাল অনুভব করবেন । এই পর্যায়ে আপনাদের জন্য আমাদের দেশে বহুল ব্যবহৃত মধু খাওয়ার নিয়ম গুলি তুলে ধরা হলোঃ
প্রতিদিন সকালে ১-২ চা চামচ মধু সরাসরি খাওয়ার অভ্যাস তৈরি করতে পারেন । এটি শরীরের জন্য অত্যন্ত উপকারী ।
মধু শরীরের ওজন কমাতে কাজে লাগে। রোজ সকালে কুসুম গরম পানির সাথে ১ – ২ চা চামচ মধুর সঙ্গে হালকা লেবুর রস মিশিয়ে খালি পেটে পান করবেন । এতে আপনার শরীরের মেদ কমবে ।
কাঁচা ছোলার ভিজিয়ে রেখে এর সঙ্গে মধু মিশিয়ে খেলে শারীরিক দুর্বলতা দ্রুত দূর হবে।
ব্রেড বা রুটির সাথে জেলি কিংবা নসিলা এর পরিবর্তে মধু খেতে পারেন ৷ এটি খেতে বেশ সুস্বাদু। পাশাপাশি অধিক এনার্জী পাবেন ৷
চায়ের সঙ্গে চিনি এর পরিবর্তে মধু পান করতে পারেন ৷ চিনিকে বলা হয়ে থাকে ‘হোয়াইট পয়জন’। এটি মানবদেহের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর ৷
দুধের সঙ্গে মধু মিশিয়ে পান করতে পারেন ৷ এটি খুবই উত্তম একটি পানীয় ৷ তবে অবশ্যই দুধ গরম থাকা অবস্থায় এতে মধু দিবেন না । তাপমাত্রা স্বাভাবিক হলে তখন মধু মিশিয়ে খাবেন ৷
আমরা জানি কালোজিরা হল সকল রোগের মহা ঔষধ। অল্প পরিমান কালজিরার সাথে ১ চা চামচ মধু নিয়মিত পান করুন। এতে অনেক জটিল রোগ থেকে মুক্তি পাবেন ইনশা আল্লাহ।
মধু এবং লেবুর শরবত খুবই উত্তম পানীয়। মধুতে বিদ্যমান খাদ্য উপাদানগুলি শরীরে তৎক্ষণাৎ শক্তি যোগায়। শরীরের ক্লান্তি দূর করে।
যারা কোষ্ঠকাঠিন্যতায় ভুগছেন তারা ১ মগ পানিতে ২ চা চামচ ইসুবগুলের ভুসি এবং ১ চা চামচ মধু মিশিয়ে খালি পেতে কয়েকদিন পান করলে ভাল সুফল পাবেন।
যারা রক্তনালীর বিভিন্ন সমস্যায় মধু বিশেষ উপকারী। মধুর সঙ্গে দারচিনির গুঁড়ো মিশিয়ে নিয়মিত কিছুদিন খেতে পারেন। এতে আপনার রক্তনালীর সমস্যা দূর করবে। এমনকি রক্তে বিদ্যমান খারাপ কোলেস্টেরলের পরিমাণ ১০ ভাগ পর্যন্ত কমিয়ে দিতে পারে খাঁটি মধু।
সর্দি-জ্বর নিরাময়ের জন্য তুলসি পাতা বা বাসক পাতার রসের সঙ্গের মধু মিশিয়ে খেতে পারেন। এতে খুবই ভাল কার্যকারিতা অনুভব করবেন।
রান্নায় সরাসরি মধু ব্যাবহার করা যাবে না। খাবারে মধু মিশিয়ে মিষ্টি করতে রান্না শেষ হবার পরে তাতে মধু মিশিয়ে নিন।
ফুটন্ত পানি কিংবা দুধে সরাসরি মধু যোগ করা যাবে না। পানি বা দুধ পানযোগ্য তাপমাত্রায় আসলে তারপর এতে মধু যোগ করুন।
যে সকল বাচ্চাদের বয়স ১ বছর বা ১২ মাসের কম, তাদের কোন ক্রমেই মধু খেতে দেয়া যাবে না৷ কারণ ১ বছরের কম বয়সে বাচ্চাদের পরিপাকতন্ত্র পুরোপুরি সুগঠিত থাকে না৷ বাচ্চার বয়স ১২ মাস হওয়ার পরে, দৈনিক অল্প পরিমাণে মধু খওয়ানোর অভ্যাস তৈরি করা যেতে পারে৷
কোন মধু স্বাস্থের জন্য সবচেয়ে উপকারি?
সব মৌসুমের খাঁটি মধুতেই রয়েছে প্রায় সমান গুণাগুণ৷ মৌসুম ভেদে মধুর স্বাদ, ঘ্রাণ এবং ঘনত্বের পরিবর্তন হয় সাধারণত ৷ কিন্তু বাজারে পাওয়া যায় এমন সব ধরণের মধুই আপনার স্বাস্থ্যের জন্য উপকারে আসবে না । খোলা বাজারে যে সমস্ত মধু পাওয়া যায় তার অধিকাংশই ভেজাল অথবা নকল ৷ আবার কমার্শিয়াল হানিগুলো সাধারণত মেশিনের মাধ্যমে প্রসেস করে বাজারজাতকরণ হয়ে থাকে, এর ফলে মধুর প্রাকৃতিক গুনাগুণ হ্রাস পায়। আর আমরা সবাই জানি, মধু আমাদের জন্য যেমন খুবই উপকারী তেমনি ভেজাল বা নকল মধু আমাদের শরীরের জন্য ততটাই অপকারী ।
তাই সবসময় চেষ্টা করবেন প্রাকৃতিকভাবে উৎপন্ন ভাল মানের RAW মধু পান করতে, এতে সবচেয়ে বেশি উপকারিতা পাওয়া যায়। আর মধু যত টাটকা খেয়ে নেয়া যায় ততই শরীরের জন্য উত্তম।
খাঁটি মধু চেনার কিছু উপায়:
১. অপ্রক্রিয়াজাত খাঁটি মধুতে সাদা ফেনা বা বুদবুদের মতো দেখা দেবে। যার মাধ্যমে বোঝা যায় মধুতে কোনো রাসায়নিক দ্রব্য মেশানো হয়নি।
২. একটা সাদা কাপড়ে সামান্য
মধু লাগিয়ে রাখতে হবে। শুকিয়ে গেলে পানি দিয়ে ধুয়ে নেওয়ার পর দাগ থাকলে বোঝা যাবে-
এটি খাঁটি মধু।
৩. রেফ্রিজারেটরে রেখে
দিলেও খাঁটি মধু ঠান্ডা হয়ে জমে যাবে না।
৪. একটা সুতি কাপড় প্রথমে পানিতে পরে খাঁটি মধুতে ভিজেয়ে আগুনের কাছে নিলে আগুন জ্বলবে
ও পটপট শব্দ হবে।
৫. ভিনিগারের সঙ্গে মধু মিশিয়ে সহজেই মধুর মান নির্ণয় করা যায়। ভিনিগার গোলানো পানিতে
কয়েক ফোঁটা মধু দিয়ে মেশাতে হবে। যদি মিশ্রণে ফেনা দেখা দেয় তাহলে বুঝতে সেটা ভালো
মধু নয়।
৬.খাঁটি মধুতে ম্যাচের কাঠি
ডুবিয়ে আগুন ধরালে সঙ্গে সঙ্গে জ্বলে উঠবে। যদি না জ্বলে তবে বুঝতে হবে সেটা ভেজাল
মধু।
৭. খাঁটি মধু পানিতে মিশালে সরাসরি পানির সাথে
মিশে যাবে না। গ্লাসের তলানিতে জমে থাকবে। ( যতক্ষণ পর্যন্ত না চামুচ দিয়ে নাড়া দেওয়া
হয় আর নাড়া দিলেও তা ধীরে ধীরে গলতে শুরু করবে সাথে সাথে গলে যাবে না )